শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১১

হারিয়ে যাও
ওই দু’পায়ের নোনা জলে
মুক্ত খুঁজে নাও

সেখানে বহুকালে, জমানো টেলিফোনে
তলপেট কথা বলে, এক শীতলপাটি পাতা
বিছানো আবডালে, জঞ্জাল দূরে ঠেলে
মেশানো কাছে আসা এক ফোঁটা প্রীতিলতা
ছড়িয়ে দাও.. বিলিয়ে দাও..

হারিয়ে যাও.. হারিয়ে যাও..
ওই দু’পায়ের নোনা জলে
হারিয়ে যাও..

মন্ত্রতন্ত্র মুগ্ধ স্বরে..
গেয়ে যায় কাক একা সকালে..
ভ্রষ্টা রাষ্ট্র কষ্ট করে..
তবুও লাল পাতা হয়ে ঝরে..

ঝরিয়ে যাও.. হারিয়ে যাও..
ওই দু’পায়ের নোনাধরা জলে..
মুক্ত খুঁজে নাও..

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

রাখাল'র গান ৫ / কথা: রাশেদুন্নবী সবুজ

হয়তো আমি খুঁজে পাব না, রঙিন মাঝির শেষ ঠিকানা
তবু আলী সাহেবের রিকসায় চেপে, ছোলা ভাজা যাচ্ছি খোসে
রোদ্দুর মাথায় চৌকো সড়ক, খাচ্ছে কলা বাঁদর শাবক
এলোমেলো চিল কাঠপেন্সিল, রক্ত ঝরায় দুষ্ট ছোড়া ঢিল

তুমি কি সেই স্বপ্ন লোক, লাল পতাকা নীল পালক
সাদামাটা চটি সাদা পাঞ্জাবি, টিকটিকি বলে পুরোনো কবি

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১১

রাখাল'র গান ৪ / কথা: রাশেদুন্নবী সবুজ

লিফলেট মিছিলে দুপুরের গুলিতে
ফাগুন বাতাস বিধলো স্মৃতিতে
পলাশ ডালে ঠাঁয় দু'টি কোকিল
হেঁটে যায় রাজপথ নেমে আসে চিল

বিপস্নবী জনতার শক্ত হাতে
নষ্ট সময়, ভাঙে সুপ্রভাতে
ধন্য মায়ের ওই দশটি আকাশ
শিকারী বকের চোখে শুধু দীর্ঘশ্বাস

বুক পকেটে বাঁধে শানত্ম পত্র
তাতে লেখা ঠিক একটি নৰত্র
আজিমপুর থেকে বাবলা গাঁয়ে
প্রভাতফেরী আজও নগ্ন পায়ে

কালো রঙ কাক মেঘের দল ছুঁয়ে যাক
রক্তে ভেজা স্বর-ব্যঞ্জন হৃদয় জুড়ে থাক

রাখাল'র গান ৩ / কথা: সাম্য রাইয়ান

এখানে ছায়ার শরীর, যান্ত্রিক মন
মাতাল হৃদয়ে শুধু ভরাডুবি জল৷
ভাসছে পুকুরে পস্নাস্টিক, আর
টিউবে ভাসছে শিশু৷

প্যাকেজে কতোটা প্রেম
কী তার মূল্যতত্ত্ব?
বায়বীয় স্বপ্নে ভাসছে মানুষ
দেখছে রঙিন পৃথিবী৷
এসব দেখে
টিউবে হাসছে শিশু

ভেড়ার লোমের সোয়েটার
পড়েছে ছাগল; ভেড়ার চোখে স্বপ্ন
পড়বে সোয়েটার৷

নিয়ত নতুন কষ্টে জন্ম নিচ্ছে যিশু,
এসব দেখে
টিউবে হাসছে শিশু৷

রাখাল'র গান ২ / কথা: সাম্য রাইয়ান

ওগো মাছরাঙা, আমার মন খারাপ
ওগো মাছরাঙা শোনো, আমার মন খারাপ৷

যারা ফেলে গ্যাছে এইসব লাঙল-জোয়াল
তারাই চাষ করে জমিতে;
তাঁর অসুস্থ প্রতিটি নিঃশ্বাস
আমার কানে তীব্র শব্দে বাজে৷
আমি টের পাই তার দহন

তাদেরি দিকে ছুটে যাবে মোর
উড়ত্ম চুম্বন৷

রাখাল'র গান ১ / কথা: সাম্য রাইয়ান

(দ্বিধা নয় আজ,
নেই চিনত্মার অবসর_
হিংস্র নেকড়েটা হাঁ কোরে দাঁড়িয়েছে,
লকলকে তার জিভ,
ঝিকমিকিয়ে উঠছে সুতী তাঁর দাঁতের সারি৷
কর্তব্য ঠিক করো এই মূহুর্তেই...)


কারো হাতে উলস্নাসের বাঁশি
কারো রঙচটা স্পঞ্জ
কেউ তাকিয়ে শুধু দেখছেই, হয়ত'
তাঁর আছে ইস্পাতের চোখ
নিকোলাই পেশী৷

মৃত মাংসের স্তুপ
পড়ে আছে টেবিলে;
কামার শুকিয়ে পাট, তবু
লোহা পেটার পেশী আসছে কোত্থেকে?
হাভাতে মানুষ
তাকিয়ে শুধু দেখছেই_

মৃতু্য... নাকি হত্যা?